পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক বিমানবন্দরের মধ্যে নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম শীর্ষে। কত বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী যে এই বিমানবন্দর, তার হিসেব মেলানো কঠিন। কিছুদিন বাদে বাদেই এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটছেই। সর্বশেষ বারো মার্চ দুই হাজার আঠারো ট্র্যাজেডি। এখন হিমালয়ের সৌন্দর্য দেখার প্রবল ইচ্ছে দমিয়ে রাখার যুদ্ধ চলছে অনেকের মধ্যে। কিন্তু বিমানে না গিয়ে বাসেও যাওয়া যায়। সেটা তুলনামূলক কম ঝুঁকির। জানা নেয়া যাক, কীভাবে বাসে যাবেন হিমালয়ের কাছে।
বাই রোডে নেপাল ট্যুরে যেতে হলে প্রথমেই আপনাকে হরিদাসপুর/গেদে পোর্টের ইন্ডিয়ান ট্রানজিট ভিসা লাগবে।
ভিসা ঝামেলা শেষে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দিন। হরিদাসপুর বর্ডার থেকে শিলিগুড়ি চলে যান।
ভারতের শিলিগুড়ি থেকে পানির টাংকি যেতে হবে। বাস ভাড়া ২০ রুপি। ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে কাকরভিটা থেকেই পোখরা যাবার বাস পাবেন। ভাড়া নেবে ১২০০-১৪০০ নেপালি রুপি। সময় লাগবে ১২-১৪ ঘন্টা। পোখরার লেক সাইডে হোটেল পেয়ে যাবেন ৪০০-১৫০০ রুপিতে, মধ্যম মানের হোটেল। চাইলে দামি হোটেল ও পাবেন। পোখরাতে সাইট সিয়িং এর জন্য রিজার্ভ কার বা টাক্সি নিতে পারেন সারা দিনের জন্য। ভাড়া নেবে গাড়ি প্রতি তিন থেকে চার হাজার পাঁচশত টাকার মধ্যে। তারাই সব স্পট ঘুরিয়ে দেখাবে।
সরংকোটে সূর্যোদয় দেখা থেকে ভ্রমনের শুরু, ডেভিস ফলস, গোখড়া মিউজিয়াম, আন্তজাতিক মিউজিয়াম, হোয়াইট রিভার, ভেত কেব, ফেওয়া লেক, বেতনাস লেক ইত্যাদি । চাইলে প্যারাগ্লাইডিং, আল্ট্রা লাইট ফ্লাইট, রাফটিং, ট্রাকিং করতে পারেন।
এবার চলে আসুন নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু শহরে। বাসে ভাড়া নেবে ৪৫০-৭০০ রুপি। কাঠমান্ডুতে থাকার জন্য ভাল হল থামেল এরিয়া। হোটেল ভাড়া নিবে ৫০০-২০০০ রুপি। শপিং করতে পারেন এখানে, ভালো ভালো অনেক মল আছে কাঠমান্ডুতে। কাঠমান্ডুতে দেখতে পারেন দরবার স্কয়ার, নাগারকোট, সয়ম্ভু, বাঘ বাজার ইত্যাদি।
এবার ফেরার পালা। কাঠমান্ডু বাস স্ট্যান্ড থেকে সরাসরি কাকড়ভিটা আসার বাস পাবেন। ভাড়া নেবে নন এসি ১১০০-১৩০০, এসি ১৭০০-১৯০০ রুপি। সময় লাগবে ১২ ঘন্টা। একইভাবে ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে ভারতে প্রবেশ করুন। তারপর নিজের দেশে।