ঘটনাটি আমদের চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামে, বায়তুল মামুর মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল কালাম আজাদ।এলাকার সবাই তাকে প্রচন্ড ভালবাসে এবং শ্রদ্ধা করে।
কিন্তু পুলিশে চাকরি করা মুস্তাফিজুর রহমান দুলাল নামে এক অশিক্ষিত, বর্বর লোক আজ হুজুরের উপর হামলা চালায়,প্রতিবাদে এলাকার কিছু গণ্যমান্য লোক তার এহেন কর্মকান্ডের কারণ জানতে চাওয়ায় তাদের উপর ও হামলা করা হয়,এবং তাদের আক্রমণে কয়েকজন খুবই গুরুতর আহত হয়েছে আর কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।তার আক্রমন থেকে বাদ যায় নি মুক্তিযোদ্ধা ও!
ঘটনার সূত্রপাত আজ থেকে প্রায় ১ বছর আগে।মসজিদের কমিটিতে অনেকটা অঘোষিতভাবে একটা অশিক্ষিত, বর্বর লোক স্থান করে নিয়েছে।ধর্মীয় কোন জ্ঞান না থাকা সত্র্বে ও সে মসজিদের সভাপতি হয়ে গিয়েছে।তারপর থেকে মসজিদের ইমাম সাহেব এবং অন্যন্য কমিটির মেম্বারদের সাথে তার স্বেচ্ছাচারীতা স্পষ্ট হয়ে উঠে।
এমতাবস্থায় কমিটির সকলে তার উপর অনাস্থা জ্ঞাপন করে।স্থানীয় মানুষদের প্রতিবাদের মুখে এলাকার চেয়ারম্যান এসে সকলের সম্মতিতে উনাকে সভাপতি পদ থেকে বাদ দেওয়া হয়।তারপর থেকে মসজিদের কমিটিদ্বয় এবং ইমাম সাহেব তার শত্রু হয়ে যায়।
তারপর আজ তার ভাতিজির বিয়েতে মসজিদের ইমামকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দাওয়াত দিয়ে জংগী তকমা দিয়ে ইমাম সাহেবকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ এবং চড় থাপ্পর দিয়েছে।। মুক্তিযোদ্ধা বাবার কারনে পুলিশে চাকরী পেয়ে সে যেন বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল।গর্ব করে বলতো কেউ নাকি তার বাল ও ছিড়তে পারবে না।যখন তখন কারো গায়ে হাত তুলতে সে দ্বিধা করতো না।
তার বেপরোয়া আচরনের জন্য এলাকায় মানুষও তাকে খুব ভয় পেতো।নিয়মিত এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।তার ভয়ে কেউ কোন দিন মুখ খুলে নাই।কিন্তু ইমাম সাহেবের গায়ে হাত দেওয়ার মানুষ আর চুপ করে থাকতে পারে নাই।প্রতিবাদ করায় তাদের উপরও সে তার সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে তাদের গুরুতর জখম করেছে।।
এমতাবস্থায় আমরা এলাকা বাসী তার এহেন কর্মকান্ডের বিচার চায়।আমরা চাই এই রকম সন্ত্রাসী যেন পুলিশ বাহিনিতে না থাকে।এগুলা সমাজের এবং পুলিশ বাহিনীর ক্যান্সার। তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের লাগাম টেনে ধরার এখনই উপযুক্ত সময়।
বি:দ্র:আমাদের প্রতিবাদ পুলিশ বাহিনীর প্রতি নয়।।এই প্রতিবাদ একজন সন্ত্রাসী,অত্যাচারীর বিরুদ্ধে।পুলিশে চাকরী করে সাধারণ মানুষের গায়ে অন্যায়ভাবে হাত তুলার সাহস সে পেলো কই? এরা সমাজ,রাষ্ট্র এবং দেশের শত্রু। এরা পুলিশ বাহিনীর ও ক্যান্সার। ওকে এখনই বিচারের আওতায় এনে শাস্তি না দিলে এলাকার শান্তি শৃংখলা নষ্ট হবে।
আমরা সরকার,স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয় এবং পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তার নিকট তার উপযুক্ত শাস্তি দাবি জানাচ্ছি। এই ঘটনায় ফরিদগঞ্জ উপজেলার ওসি সাহেব আমাদের সাহায্য সহযোগিতা আশ্বাস দিয়েছেন।