রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ফ্রান্সে বিশ্বনবি হযরত মুহাম্মাদ সা. এর চরম অবমাননার প্রতিবাদে দেশের সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ডাকে অনুষ্ঠিতব্য রাজধানী ঢাকাস্থ ‘ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও’ কর্মসূচির নেতৃত্ব দিতে ঢাকায় আসছেন সংগঠনটির মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
হেফাজতের ঢাকা মহানগরীর ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচির সভাপতিত্ব করবেন, হেফাজতের ঢাকা মহানগর সভাপতি আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।
এদিকে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে ইতোমধ্যে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেছেন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
ঢাকা মহানগরের কর্মসূচিতে ইতিপূর্বে কেন্দ্রীয় মহাসচিব অংশ নিলেও কালকের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের ঘোষণায় নেতাকর্মীদের মাঝে উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে হেফাজতের অন্যতম নেতা ঢাকার লালবাগ মাদরাসার মুহাদ্দিস, মুফতী সাখাওয়াত হোসাইন রাজী তার অফিসিয়াল ফেসবুকে কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার একটি পদ্ধতিও উল্লেখ করেছেন।
তিনি লিখেছেন, আগামীকাল ঢাকার সর্ববৃহৎ মিছিলটি লালবাগ থেকে গুলিস্তান গোলাপ শাহ মসজিদ হয়ে আনুমানিক ৯ টায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে পৌঁছাবে।
আশা করছি এভাবেই ঢাকার প্রত্যেকটা এলাকা থেকে নবী প্রেমিকদের ঢল নামবে জাতীয় মসজিদের দিকে।
সম্প্রতি ‘ইসলাম ধর্ম সঙ্কটে’ রয়েছে এমন মন্তব্য করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। একই সঙ্গে মুসলমানদের বিচ্ছিন্নতাবাদী আখ্যা দেন ম্যাক্রোঁ। ইসলামি বিচ্ছিন্নতাবাদ কঠোর হস্তে দমনেরও ঘোষণা দেন তিনি।
কার্টুন প্রকাশে বন্ধের আহ্বানের বিষয়ে তিনি বলেন, কার্টুন প্রকাশনা তিনি বন্ধ করতে পারবেন না। কার্টুন প্রকাশ বন্ধ করাকে স্বাধীন মত প্রকাশের ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ ঘটনার পরপরই ফ্রান্স এবং ম্যাক্রোঁর ধর্ম নিয়ে একের পর এক তীর্যক মন্তব্যে ক্ষোভে ফুসছে তুরস্ক, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশ। প্রতিবাদে বিভিন্নস্থানে ম্যাক্রোঁবিরোধী মিছিল করেছে মুসলমানরা।
তারপরও ফরাসি ম্যাগাজিন শার্লি এবদোর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাও নেননি, নিজের অপরাধের জন্য ক্ষমা লজ্জিত নন বরং আরো উস্কানি দিয়ে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। এমন পরিস্থিতিতে শার্লি এবদোর কাণ্ডে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ।