সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পেনাল্টি দুর্ভাগ্য ম্যাচের শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর অনেক চেষ্টা করেও সমতায় ফিরতে পারছিল না প্রথমবার সাফ জয়ের স্বপ্নে বিভোর থাকা পল স্মলির শিষ্যরা। শেষমেশ বিরতিতে যাওয়ার
ঠিক আগ মুহূর্তে দলকে সমতায় ফিরিয়ে স্বস্তি এনে দেন রাজন হাওলাদার। ভারতের ভূবনেশ্বরের কালিঙ্গা স্টেডিয়ামে শুক্রবার (৫ আগস্ট) স্বাগতিকদের বিপক্ষে ১-১ সমতা নিয়ে বিরতিতে তানভীররা। এর আগে ম্যাচ শুরুর দ্বিতীয় মিনিটেই পিছিয়ে
পড়ে বাংলাদেশ। বল নিয়ে আক্রমণে উঠে গোলের জন্য শট নেয় ভারতের হিমাংশু। প্রথম প্রচেষ্টায় বল প্রতিহত করেন গোলরক্ষক মোহাম্মদ আসিফ। কিন্তু বল গ্লাভসবন্দি
করতে পারেননি। এগিয়ে গিয়ে শট নেয়ার চেষ্টা করেন ভারতের গুরকিরাত সিং। বাধা দিতে পা বাড়িয়ে দেন আসিফ। পড়ে যায় গুরকিরাত। রেফারির বাঁশিতে পেনাল্টির সুর। দলকে লিড এনে দেন গুরকিরাত সিং। এরপর সমতায়
ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠেন লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। ম্যাচের ৪ মিনিটে শট নিতে দেরি করে গোল মিস করেন মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম মঈন। ১০ মিনিট রফিকুল ইসলামের
নেয়া শট বার ঘেষে যায়। ম্যাচের ২৬ মিনিটে প্রায় সমতায় ফেরার দারুণ সুযোগ পায় তানভীররা। ডি বক্সের বাইরে থেকে পিয়াস আহমেদের উদ্দেশে বল বাড়ান রফিকুল। কিন্তু ভারতের ডিফেন্ডারদের বাধায় শট নিতে
পারেননি তিনি। এরপর পাল্টা আক্রমণে যায় ভারত। ৩৪ মিনিটে ফাঁকা ডি বক্সে বল পেয়েও গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন গুরুকিরাত। ৩৯ মিনিটে ডি বক্সের বাম কর্নার থেকে গোলের উদ্দেশে শট নেন। কর্নারের বিনিময়ে বল ফিরিয়ে
দেন আসিফ। পরপর বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট করেন ভারতের দুই ফরোয়ার্ড হিমাংশু ও গুরকিরাত। তবে বাংলাদেশের সুযোগ নষ্ট হতে দেননি রাজন। বিরতিতে যাওয়ার আগে ডি বক্সের ডান কর্নার থেকে আক্রমণে গিয়ে রফিকুল ইসলাম ভারতের
ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে বল বাড়ান রাজনদের উদ্দেশে। পেনাল্টি এরিয়া থেকে নেয়া তার তার শট গ্লাভসবন্দি করতে পারেননি ভারতের গোলরক্ষক সোম কাপুর। স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়ে বিরতিতে যায় স্মলির শিষ্যরা।